ঢাকার আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় ক্যারাম খেলার আড়ালে চলত মিনি ক্যাসিনো (জুয়ার আসর)।
শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তা ছাড়া মিনি ক্যাসিনোর বোর্ড, টাকা ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
রোবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক। মিরপুরে র্যাব-৪-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ মিনি ক্যাসিনো চলছিল দেড় বছর ধরে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জুয়ার আসর বসতো।
রাত যত গভীর হতো, ক্যাসিনো তত জমে উঠত। প্রতি রাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা জুয়া খেলা হতো সেখানে।
বাইরে থেকে মিনি ক্যাসিনোটি বোঝার উপায় ছিল না। বাইরে থেকে দেখা যেত ক্যারম বোর্ড।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এ ইলেক্ট্রিক বোর্ডের মধ্যে নানা ধরনের মাছের ছবি রয়েছে। সেগুলো ছোটাছুটি করে। টাকা দিয়ে নির্ধারিত মাছ কেনার পর ভার্চুয়ালি গুলি করে মারতে হয়। মারতে পারলে দ্বিগুণ টাকা। আর মিস করলে পুরোটাই লস।
তিনি বলেন, এ ক্যাসিনো ব্যবসা মালিকানায় রয়েছে প্লাবন, হোসাইন ও ওমর ফারুক নামের তিন জন। তাদের আটক করা যায়নি।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাইরে প্রদর্শন করা হয় ক্যারম বোর্ড, আর আড়ালে চলতো জুয়ার আসর কিংবা মিনি ক্যাসিনো। আমরা যখনই গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তখনই অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এই বোর্ড আমদানি করা হয়েছে মালয়েশিয়া থেকে। দেখে মনে হচ্ছে সম্প্রতি আমদানি করা হয়নি। কীভাবে এ বোর্ড আমদানি করা হয়েছে আমরা খতিয়ে দেখছি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে র্যাব-৪-এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা হলেন মো. বিল্লাল, মো. জুয়েল, মইদুল ইসলাম, সবুজ মিয়া, মো. শরিফ, মো. লিটন, রবিউল মোল্ল্যা, আবু তালেব, দিয়াজুল ইসলাম , মো. শিপন, আব্দুল আলিম, আজাদুল ইসলাম, সোহেল মোল্ল্যা, আসাদুল ইসলাম, মো. এখলাছ, মঈন মিয়া, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান, রুবেল মিয়া, ফজলে রাব্বি ও রনি ভূঁইয়া।
অভিযানে ১টি ক্যাসিনো বোর্ড, ১০০ ইয়াবা বড়ি, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ও ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।