বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খারাপ লাগছে আগামীকাল মা চলে যাবেন’

  • সৌগত বসু, ঢাকা   
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ১৩:২০

রোববার সকাল ৮টায় বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহানবমী। এই দিনই দুর্গাপূজার শেষ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবমীর রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।

কুমারি পূজা ছাড়াই শনিবার পালিত হয়েছে মহাঅষ্টমী। আজ রোববার মহানবমী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন। সোমবার ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী।

বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর আগমনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজা। সোমবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের পূজা।

রোববার সকাল ৮টায় বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহানবমী। এই দিনই দুর্গাপূজার শেষ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবমীর রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।

ভক্তরা মনে করেন, মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার দিন। পরদিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিব মন্দিরে পূজা দেখতে আসা রুমা রানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে যে মা এসেছে আমাদের মাঝে। আমরা মায়ের সেবা করতে পারছি। তবে খারাপ লাগছে যে আগামীকাল মা চলে যাবেন’।

তিনি বলেন, ‘মূলত আজই শেষ দিন। আজ আমরা অনেক বেশি মজা করব। কাল মাকে বিদায় দেব। মা প্রতি বছর আসেন আমাদের মাঝে এবং জীবন মঙ্গলময় করে দিয়ে যান।’

পূজা দেখতে আসা অভিরাজ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, এবার একটু খারাপ লাগছে কারণ করোনার জন্য অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাদ হয়ে গেছে। সন্ধ্যার আয়োজনগুলো এবার আর হচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে রাজধানী ঢাকার কোনো মন্দিরেই এবার পূজার আনুষ্ঠানিকতা সেভাবে চোখে পড়েনি। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে অনেক ধর্মীয় আচার।

ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের শিব মন্দিরে পূজায় ভক্তরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

 

উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, করোনা সতর্কতা ও বৃষ্টির কারণে গত তিন দিন অনেকেই মণ্ডপ প্রদর্শনে আসেননি। তবে আজ তারা আসবেন।

এ কারণে মণ্ডপগুলোতে ভিড় কিছু বাড়বে। সেটা বিবেচনায় রেখে ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজধানীর মন্দিরগুলোতে।

সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতা।

জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গাপূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া মন্দিরের আশেপাশে মেলাও নিষিদ্ধ করা হয়।

সারাদেশে এবার ৩০ হাজার ২১৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীতে মণ্ডপের সংখ্যা ২৩২টি। গত বছর সারাদেশে মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৪৮৩টি বেশি। আর এবার মণ্ডপ কমেছে গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৮৫টি।

 

এ বিভাগের আরো খবর