শুধু জাল টাকা নয়, জাল ডলার তৈরিতেও পারদর্শী ছিল দলটি। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে জাল নোট তৈরি করে খুচরা ও পাইকারিভাবে বিক্রি করে আসছিল তারা।
শুক্রবার রাজধানীর কোতোয়ালি, আদাবরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের হোতাসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
ডিবির ভাষ্য, ওই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ও প্রতিটি ১০০ ডলার মূল্যের ১১৩টি জাল নোট জব্দ করা হয়।
হোতা কাজী মাসুদ পারভেজসহ গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যরা হলেন মো. মামুন, মোছাম্মৎ শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা ও নাজমুল হক। রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শনিবার তাদের আদালতে পাঠিয়েছে ডিবি।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটিং মেশিন, দুটি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, জাল টাকা ছাপানোর পাঁচ রিম কাগজ, বিভিন্ন রঙের আট বোতল কালি, ক্রমিক নম্বর দেয়ার সিল ও একটি এফ প্রিমিও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চক্রটি ঈদ, দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহযোগীদের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিল।
তিনি বলেন, প্রথমে এ চক্রের সদস্য মামুন ও শিমুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের হোতাসহ বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।চক্রের হোতা মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিবির এ কর্মকর্তা।