বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায়হানের মৃত্যু: কনস্টেবল হারুনের পাঁচ দিনের রিমান্ড

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৫০

২০ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন এখনো পলাতক।

সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত কনস্টেবল হারুনুর রশীদের পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

শনিবার বিকেল পৌঁনে চারটায় তাকে সিলেট মহানগর-৩ আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম।

শুনানি শেষে হাকিম শারমিন খানম নীলার তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন।

সকালে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান জানান, হারুনুরকে শুক্রবার রাতে পুলিশ লাইনস থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরের কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে পুলিশ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির কথা তারা শোনেননি। পাশাপাশি ওই এলাকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ফুটেজে যুবককে গণপিটুনির কোনো প্রমাণই মেলেনি বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম।

নিহত রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুই বছর ধরে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটের এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারীর কাজ করতেন।  

পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়ি থেকে ফোন দিয়ে রায়হানকে ছাড়িয়ে আনতে তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই দিনের ঘটনায় ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা ও অদক্ষতার প্রমাণ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।

১৪ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত ভার পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআই বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা ২০ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন এখনও পলাতক।

রায়হানের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য ১৫ অক্টোবর তার মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়। ময়নাতদন্ত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। ওই বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম জানান, ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়। তার দেহে আঘাতের ১১১ টি চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর জখম রয়েছে ১৪ টি। 

এ বিভাগের আরো খবর