সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রখ্যাত এই আইনজীবীর মৃত্যুতে এক শোক বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এই কথা বলেন।
পৃথক শোকবার্তায় রফিক-উলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও আবদুল হামিদও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে ‘মিথ্যা মামলায়’ বন্দি করে। সেই দুঃসময়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পর তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করতে কেউ এগিয়ে আসছিলেন না। পরে উচ্চ আদালতে মামলা দুটি পরিচালনায় এগিয়ে আসেন রফিক-উল হক। তিনি দুই নেত্রীর আইনি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উচ্চকিতও হন।
সেই ভূমিকার স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক নানা পরামর্শ দিতেন।’
৮৫ বছর বয়সী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শনিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। ৬০ বছর ধরে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তার আয়ের একটি বড় অংশ দান করেছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিপুল অবদান রেখেছেন । তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ আইনবিদকে হারাল।’
প্রয়াত আইনজীবীর আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান আবদুল হামিদ।
প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানও।