আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় মেরিন কোর্টে মামলা হয়েছে।
শনিবার সকালে পটুয়াখালী নৌ বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বোট পরিচালনাকারী ও চালককে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে নিখোঁজ পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কোস্টগার্ড তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত পাঁচ জন হলেন রাঙ্গাবালী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মহিবুল্লাহ (৪৫), উপজেলা কৃষি ব্যাংক পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), এনজিওকর্মী কবির হোসেন (২৮), দিনমজুর হাসান মিয়া (৩৫) ও ইমরান হোসেন (৩৪)।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ জানান, সকালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন পয়েন্টে লাশগুলো ভাসতে দেখে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফাকুর রহমান জানান, স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিডবোটটি কোড়ালিয়া ঘাট থেকে পাশের গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ঘাটে যাচ্ছিল। প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ওই স্পিডবোটের তলা ফেটে যায়।
উদ্ধার হওয়া কয়েকজনের দাবি, নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হলে চালককে বোট তীরে নেয়ার কথা বললেও তিনি শোনেননি।
নিখোঁজদের সন্ধানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদীতে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি দল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটে। আবহাওয়া ভালো হলে শনিবার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।