ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন ঠেকাতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক জনসচেতনা তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। সর্বস্তরের মানুষের ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদকে স্বাগত এবং নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়ে এরই মধ্যে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বাহিনীটির পক্ষ থেকে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারী নির্যাতন ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক জনসচেতনতা তৈরির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা। যাতে যে কোনো প্রকার নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনকে কেন্দ্র করে গত ৪ অক্টোবর সারাদেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। দাবি উঠে আইন পরিবর্তনের। আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ১৩ অক্টোবর।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন ঠেকাতে গত ১৭ অক্টোবর বেলা ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে পুলিশের ৬ হাজার ৯১২টি বিটে একযোগে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ধর্ষণসহ যে কোনো প্রকার নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করতে এবং নির্যাতিত নারী ও শিশুর পাশে থাকতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে ১০ অক্টোবর পুলিশ সদরদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিতকল্পে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ সব মামলার তদন্ত করে বিচারের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
বিট পুলিশি কার্যক্রমে নানা নির্দেশনাও দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ সদরদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাহিনীর প্রধান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় ১৭ অক্টোবর সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এ সমাবেশের মাধ্যমে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী প্রতিবাদে পুলিশ একাত্মতা জানিয়েছে। প্রতিটি বিটে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল।
এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে যথাযথ আইনি পদক্ষেপের সঙ্গে প্রতিরোধমূলক জনসচেতনা তৈরিতে ভবিষ্যতেও নানা আঙ্গিকে কর্মসূচি গ্রহণ করবে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার কথা হয় পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানার সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায় আইনি প্রতিকারই একমাত্র পথ নয়। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যাতে সচেতনতা সৃষ্টি হয় সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে।
সোহেল রানা বলেন, যাতে সমাজে প্রতিরোধমূলক জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়- এই বিষয়টি মাথায় রেখে নানা রকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন আঙ্গীকে এসব কর্মসূচি নেয়া হবে।