অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’র তথ্য জানিয়েছে র্যাব। যদিও কী অগ্রগতি তা জানানো হয়নি ‘তদন্তে স্বার্থে’।
মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিটের ওপর।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর রমনা কালীমন্দির পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য র্যাব প্রধান।
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘মামলার তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা সমীচীন হবে না।
রাজধানীর রমনা কালীমন্দির পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি র্যাব ডিজি
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।
পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল সিনহা অস্ত্র তাক করলে তাকে গুলি করা হয়। তবে পুলিশের ভাষ্যে সন্দেহ দেখা দেয়।
৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলি। আর দুই নম্বর আসামি টেকনাফ থানার সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ।
পরে আরও পাঁচ জনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করছেন র্যাব। তারা প্রদীপ ও লিয়াকতসহ আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ডেও নিয়েছে।
গ্রেফতার ১৩ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি।
সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ
এই মামলা বাতিল চেয়ে লিয়াকত আলীর পক্ষ থেকে করা রিভিশন মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে আগামী ১০ নভেম্বর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি আলাদা তদন্ত করেছে। তারা সেপ্টেম্বরের শুরুতে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দেয়। এতে ১৩টি সুপারিশ রয়েছে জানালেও তা প্রকাশ করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।