সিলেটের বাজারে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। দুইদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ও নজরদারি বাড়ায় আলুর দাম কমছে।
শুক্রবার সিলেটের আম্বরখানা, শিবগঞ্জ ও বন্দরবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি আলু। মঙ্গলবারও এসব বাজারে প্রতি কেজির দাম ছিল ৫০ টাকা।
৭ অক্টোবর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। পরে তা ৩৫ টাকা করা হয়। এরপরেও সিলেটে ৫০ টাকার নিচে আলু বিক্রি হয়নি। তবে বুধবার থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান শুরু হওয়ার পর পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট নগরের সোবহানীঘাট ও কালীঘাট পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেশি রাখায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে।
সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী তারেক মিয়া বলেন, 'অভিযানের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কিছুটা কমিয়েছেন। ৫০ টাকার জায়গায় আলু এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'
আরেক ব্যবসায়ী জসিম মিয়া বলেন, 'অনেকে জরিমানার ভয়ে আলুর দাম কমিয়ে দিয়েছে। কেউ আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছে।'
রিকাবীবাজার এলাকার আল-মদিনা স্টোরের স্বত্বাধিকারী রোকন বলেন, ‘দাম ওঠানামা করায় আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছি। রিকাবীবাজারে মানভেদে আলু ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে হবে।’
এদিকে সিলেটের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার নিচে কোনও সবজি মিলছে না ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। টমেটোর কেজি ১০০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙা ও করলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে জালি লাউ আকারভেদে ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।