বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে হাসপাতালে হাঁটুপানি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:০৫

হাসপাতালের প্রবেশমুখে হাঁটুপানি থাকায় ঢুকতে না পেরে অনেক রোগী ফেরত গেছেন।

টানা বৃষ্টিতে পানি ঢুকেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে। বিশেষায়িত এই হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার গিয়াস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, শুক্রবার ভোর চারটা থেকে হাসপাতালে পানি ঢুকতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নিচ তলা তলিয়ে যায় পানিতে।

‘সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালের নিচতলায় হাঁটুপানি ছিল। পানির কারণে নিচতলার জরুরি বিভাগটি তৃতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া নিচ তলায় থাকা শিশু ওয়ার্ড, অভ্যর্থনা কক্ষ, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ পানিতে তলিয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ড থেকে কিছু রোগীকে চতুর্থ তলায় জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।’

বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক বছর বয়সী শিশু মুনতাহাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন নগরের হালিশহরের কে ব্লকের বাসিন্দা মোবাশ্বেরা আকতার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, নিচতলায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলাম। পানি উঠে যাওয়ায় চতুর্থ তলায় আনা হয়েছে। কিন্তু এখানে শিশু ওয়ার্ডের মতো চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না।

হাপসাতালের প্রবেশমুখে হাঁটু পানি থাকায় ঢুকতে না পেরে অনেক রোগী ফেরত গেছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতে মহেশখাল হয়ে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায় আমাদের হাসপাতাল। মহেশখালের মুখে স্লুইস গেট স্থাপনের কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি। তাই সামান্য বৃষ্টিতে হাসপাতালের নিচতলায় হাঁটপানি উঠে যাচ্ছে। স্লুইস গেট স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বার বার বলা হলেও সরকারি সংস্থাগুলো সেটি গুরুত্ব দেয়নি।’

টানা বৃষ্টির কারণে নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, বাকলিয়া, দুই নম্বর গেট, চকবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এসব এলাকায় বিভিন্ন বাসাবাড়ির নিচতলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গেছে।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, নিম্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি ঢুকে গেছে। সড়কে পানি থাকায় বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাধ তঞ্চঙ্গ্যা নিউজবাংলাকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও সারাদিন বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর