বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্যাতন প্রতিরোধ সভায় লাঞ্ছিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০১:০৫

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন মর্তুজ আলী। তিনি দাবি করেন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রাণী সরকার বক্তব্যে পুরুষদের কটাক্ষ করায় তিনি ধমক দিয়েছেন।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বৃহস্পতিবার দুপুরে চলছিল মাসিক নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের মাসিক সভা। এই সভায়ই নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মর্তুজ আলীর বিরুদ্ধে।

তবে অভিযোগ স্বীকার করেছেন মর্তুজ আলী। তার দাবি, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রাণী সরকার বক্তব্যে পুরুষদের কটাক্ষ করায় তিনি ধমক দিয়েছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান খাঁন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান।

এতে আরো ছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কুহেলিকা সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, জলসুখা ইউপির চেয়ারম্যান খেলু মিয়াসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।

সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমা রাণী তার বক্তব্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের জন্য পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। সেসময় সীমা রানীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে প্রত্যাহারের দাবি জানান মর্তুজা হাসান। এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উপেজলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান উত্তেজিত হয়ে সীমা রানী সরকারকে গালিগালজ করে মারতে উদ্যত হন। পরে দুজনকে দুই কক্ষে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয়।

সীমা রানী নিউজবাংলাকে বলেন, 'সভায় আমি নারীদের অধিকার নিয়ে বক্তব্য দিই। এ সময় চেয়ারম্যান মর্তুজ হাসান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসককে জানানোর চেষ্টা করি। তারা কল রিসিভ না করায় বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। আজ ইউএনওসহ প্রশাসনের লোকজনের সামনে লাঞ্ছিত করেছেন।’

ইউএনও মতিউর রহমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সভায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রানী সরকার বক্তব্যের একটি অংশে উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজ হাসান দ্বিমত পোষণ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমরা দুজনকে আলাদা কক্ষে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।

‘বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও সীমা রানী চলে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজ হাসান বলেন, ‘সভায় সীমা রানী পুরুষদের কটাক্ষ ও নারী-পুরুষ নিয়ে বৈষম্যমূলক বক্তব্য দেন। এ সময় আমি তাকে নিষেধ করি। তিনি তর্কে জড়িয়ে পড়লে একটি ধমক দেই। এর বেশি কিছু ঘটেনি।

‘পরিষদের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। সীমা রানী আমার বিপক্ষের গ্রুপের, তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর