নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আবারও এক তরুণীকে (২৫) চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) আটক করে পুলিশ। বিকালে তাকে তরুণীর করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা ও ট্রাফিক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। এ মামলায় সিরাজুলের ছেলে মাহবুবুর রহমানকেও (৩৫) আসামি করা হয়েছে। মাহবুবুর আত্মগোপনে রয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়, তরুণীকে চাকরি দেয়া ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নোয়াখালী ও ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন সিরাজুল ইসলাম। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সিরাজুল মেয়েটিকে বিয়ে করেননি এবং চাকরিও দেননি। ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেন।
ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।