বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষা নিয়ে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীরা জানান, পরপর কয়েকটি ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বেড়িবাঁধ রয়েছে ঝুঁকির মুখে।
উত্তাল জোয়ারের তোড়ে এসব বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সাগরের লোনা পানিতে তলিয়ে যাতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। এরই মধ্যে খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি জনপদে ঢুকে পড়েছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। খুলনায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তিনি জানান, বৃষ্টিপাত আরো দুতিন দিন থাকবে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোয় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌহুঁশিয়ারি সংকেত রয়েছে।
কয়রার উত্তর বেদকাশী ইউপি সদস্য পঙ্কজ মন্ডল জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়রায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এখনো জলাবদ্ধতার কারণে কয়েকশ মানুষ বাঁধে ও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। আবারও লঘু চাপ সৃষ্টি হওয়ায় জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। এতে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে খোনা গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন।
দাকোপের পানখালি ইউনিয়নের বিধান ঘোষ জানান,পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ।