নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামিদের হুমকিতে এক সাঁওতাল পরিবার এলাকা ছেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মহাদেবপুর উপজেলা থেকে পালিয়ে পরিবারটি জেলা শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।
স্থানীয়রা জানায়, মহাদেবপুর উপজেলার এক বিধবা সাঁওতাল নারী একাই তার বাড়িতে থাকতেন। তার দুই ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন।
অনেকদিন ধরে এলাকার যুবক আজাদুল ইসলাম ওরফে জারদেশ ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।
গত ৩ জুন রাতে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আজাদুল। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আজাদুলকে ধরে ফেলেন। ঘটনাটি আজাদুলের ভাই একরামুল হক জানার পর তাদের লোকজন এসে তাকে জোর করে নিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান ওই নারী। তিনি ‘যথাযথ পদক্ষেপ’ নেয়ার কথা বললেও আসলে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৩০ জুলাই ওই নারী বাদী হয়ে নওগাঁ থানায় আজাদ ও একরামুলকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। ১৬ আগস্ট তাদের মাধবপুর থেকে আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তারা জামিনে বেরিয়ে ওই সাঁওতাল পরিবারকে হুমকি দিতে থাকেন।
ওই নারীর ছেলে জানান, পাঁচ বছর আগে তারা একরামুলের কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন সুদে। ৫ বছর পর সুদে-আসলে ৭০ হাজার টাকা তারা একরামুলকে ফেরত দেন।
কিন্তু একরামুল টাকা ফেরত পাওয়ার কথা অস্বীকার করছেন। সর্বশেষ ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় জামিনে বেরিয়ে হুমকি দিতে থাকায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তারা।
তবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে একরামুল বলেন, ‘ওই পরিবারের কাছে ৭০ হাজার টাকা পেতাম। তারা টাকা না দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।’