বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শরণখোলায় পানিবন্দি ৫ হাজার পরিবার

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২০ ২০:৩৪

রায়েন্দা বাজারের পুরাতন পোস্ট অফিস এলাকা, উত্তর কদমতলা গ্রাম ও কেজি স্কুল এলাকার আরও প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে আছে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার মধ্যরাত থেকে বাগেরহাটে ভারি বর্ষণ হয়। এতে জেলার শরণখোলা উপজেলায় তিনটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যান চলাচল।

স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা জানান, উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের পূর্বাংশ এবং রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের পশ্চিম পাশ থেকে টিঅ্যান্ডটি এলাকা, খাদ্যগুদাম এলাকা, পাঁচরাস্তা ও বান্দাঘাটা এলাকার সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘরে হাঁটু পানি জমেছে।

ওই এলাকায় অবস্থিত সরকারি পোস্ট অফিসেও পানি উঠে গেছে। এ ছাড়া রায়েন্দা বাজারের পুরাতন পোস্ট অফিস এলাকা, উত্তর কদমতলা গ্রাম ও কেজি স্কুল এলাকার আরও প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে আছে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা সেতুর দক্ষিণ পাড়ের সংযোগ সড়কের দুটি স্থানে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে।

সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের রায়েন্দা সেতুর দক্ষিণ পাড়ের সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

 

সকাল ১০টার দিকে প্রায়াত চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে প্রায় ২০ফুট সড়ক ধসে গভীর খাদ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশিদের বাড়ির সামনেও কিছু অংশ ধসে গেছে।

ধসে যাওয়া সড়কের আশপাশের এলাকায় ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় সেখানে পুরো সড়ক ধসে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানিবন্দি টিঅ্যান্ডটি এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ আলী, আ. হালিম খান, আ. লতিফ খান জানান, তাদের এলাকায় প্রত্যেকের বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি। অনেকের ঘরে পানি উঠে গেছে। বহু পরিবারে বৃহস্পতিবার রান্নাবান্না হয়নি।

তারা আরও জানান, মাত্র ১০ইঞ্চির একটি সরু পাইপ বসানো রয়েছে; যা দিয়ে বিশাল এলাকার পানি সরানো সম্ভন নয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ রুমি বলেন, ‘আমার ঘরের বারান্দায়ও পানি উঠে গেছে। শহর রক্ষা বাঁধ ও টেকসই বেড়ি বাঁধের কাজ চলমান থাকায় পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ (নালা) ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ নিরসন হবে না।’ 

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‘দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের একটা অংশ ধসে যাওয়ার ঘটনা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত ধসে পরা স্থান মেরামত করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর