গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে সুপারি কুড়ানোর কথা বলে এক স্কুলছাত্রকে নির্জন বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি লিয়ন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাদুল্লাপুরের ঘটনায় ছেলেটির বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে শাকিল শেখ নামের এক যুবককে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাকে বুধবার সন্ধ্যায় সুপারি কুড়ানোর কথা বলে একটি বাগানে নিয়ে যান শাকিল। তিনি সেখানে ছেলেটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
ছাত্রটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় স্বজনেরা রাতেই তাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি শাকিল পলাতক। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার’ ছেলে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করা হবে।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলার আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি লিয়ন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লিয়ন সদর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চাপকলে হাত-মুখ ধুতে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় লিয়ন তাকে মুখ চেপে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি চিৎকার করতে চাইলে লিয়ন তার মুখে গামছা গুঁজে দেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে লিয়নকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদরের খোলাহাটি এলাকা থেকে লিয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ।