রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও তার ওপর নির্ভরশীল সবার আয়ের এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের উৎস গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে সরকারকে সুপারিশ করেছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের বিষয়েও একই সুপারিশ করা হয়েছে সরকারের কাছে।
সুপারিশসহ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দিয়েছে ইউজিসি।
তদন্ত কমিটি উপাচার্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আনা ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপাচার্যসহ কয়েক জন কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে ৬২ জন শিক্ষক ও দুজন চাকরিপ্রার্থী যেসব অভিযোগ করেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে তদন্ত করতে বলে।
ওই চিঠির পর অভিযোগ তদন্তে ড. দিল আফরোজা বেগমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করে ইউজিসি।
প্রতিবেদনে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারী তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন পর্যায়ে অসহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে ওই পদ থেকে অপসারণ করে শাস্তি দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ১৮ মাস ধরে নানা অজুহাতে দখলে রাখায় তিনিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা আদায়ের সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ সুনির্দিষ্ট ১৭টি অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একটি পক্ষ। ইউজিসি গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব অভিযোগের শুনানি করে। এর বাইরেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।