ঝালকাঠিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুরের মামলায় জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি ফাতেমা শরীফকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বুধবার দুপুরে শহরের সিটিপার্ক সড়কের বাসা থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। এ দিন সকালে ঝালকাঠি সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়।
যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি ফাতেমা শরীফসহ ১৭ জনের নামে গত সোমবার ঝালকাঠি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে দ্রুত বিচার আইনে নালিশি অভিযোগ দেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রীতা মন্ডল। ওই দিনই আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়ার আদেশ দেন।
বুধবার আদালতের আদেশের কপি থানায় এসে পৌঁছালে মামলাটি রেকর্ড হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান।
ফাতেমা শরীফকে গ্রেফতারের পরই থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়া শারমীন মৌসুমি কেকা এবং আনিসুর রহমান তাপু ও ফতেমা শরীফের নেতৃত্বে ১২/১৪ জন শাবল, খোন্তা, কোদাল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তালা ভেঙে সুগন্ধা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দেন।
বাদির আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিরা ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার ভাঙচুর করে মারাত্মক অপরাধ করেছেন; যা দ্রুত বিচার আইনে বিচারযোগ্য।