মানিকগঞ্জে আট বছর আগে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ এসেছে।
বুধবার বিকালে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের হাকিম মোহাম্মদ আলী এ রায় দেন।
পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলাটির বিচার শেষ করতে সাত বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। দেরিতে হলেও বিচার পেয়ে সন্তোষ জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোবরনার্চি গ্রামে। প্রমাণ না পাওয়ায় একই মামলায় বেকসুর খালাস হয়েছেন দুই আসামি।
মামলার এজাহারে অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর সাটুরিয়া উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন সাদ্দাম মিয়া। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
পরে সাদ্দাম হোসেন ছাড়াও সম্ভু সরকার ও তপু পাল নামে আরও দুই জনকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন ওই মেয়ের বাবা।
তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলায় ১৮ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। নির্দোষ প্রমাণ হন সম্ভু সরকার ও তপু পাল।
আদালতের রায়ে মামলার বাদী ও তার পক্ষের আইনজীবী এ কে এম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
যদিও আসামিপক্ষে ন্যায়বিচার না পাওয়ার দাবি করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।