অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূইয়াকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
হাই কোর্ট এক আদেশে বলেছে, ৩৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন আবেদন বিবেচনা করা যাবে না।
দুই জনের কাছে প্রচুর অবৈধ অর্থ থাকার তথ্য আছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারক।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ জামিন নিয়ে রুলটি খারিজ করে এই মন্তব্য করে।
দুই মামলায় জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল-রুপনের বাড়িতে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা টাকা। ফাইল ছবি: ফোকাস বাংলা
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন (মানিক) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলটি ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছে আদালত। ফলে তাদের জামিন হয়নি।’
গত ১৫ জুন দুই ভাইয়ের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তারা হাইকোর্টে আবেদন করে।
উদ্ধার করা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার বস্তাবন্দি করে গাড়িতে করে নেয়া হয়। ফাইল ছবি: ফোকাস বাংলা
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাকা ও গয়না জব্দ করে র্যাব। পরে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
এনামুল রুপনের বাড়ি থেকে টাকার সঙ্গে জব্দ করা হয় সিন্দুকটিও। ফাইল ছবি: ফোকাস বাংলা
ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব। এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়।
অনুসন্ধান শেষে ৩৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর ২৩ অক্টোবর এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।