দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা আরতির পর মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার আশেপাশেই বন্ধ হবে মণ্ডপের দুয়ার।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি নেতারা।
সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব উদযাপনে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ধ্যার পরই মূলত মণ্ডপে ভিড় বেশি দেখা যায়। সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় তাই এই সময়ে মণ্ডপে ঢোকা বন্ধ থাকবে।
সন্ধ্যা আরতির পর বলতে কয়টা বোঝানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে কিশোর রঞ্জন মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময় তো ধরা হয়নি। তবে সন্ধ্যা আরতি যখন শুরু হবে সে অনুযায়ী আনুমানিক সাড়ে ৬টার পর থেকেই আর দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। যারা ভেতরে থাকবে তাদেরও বের করে দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাতটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া ২৬ নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা মহানগরের সব পূজা মণ্ডপের জন্য দেয়া হয় ২২টি নির্দেশনা।
এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল।
তারা জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, পিএ সেট বাজানো, আজানের সময় ঢাকঢোল বাজানো, আতশবাজি, পটকার ব্যবহার ও প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা বের করায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
এছাড়া কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, বসার জায়গায় প্রতিটি চেয়ারের দূরত্ব তিন ফুট নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে কমিটির নেতারা জানান, সামর্থ্য অনুযায়ী পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। গুজব ছড়ালে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করা হয় ।
ডিএমপির যুগ্ন কমিশনার (অপারেশন) মনির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকেও মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, মণ্ডপে ঢোকার আগে ভক্ত, দর্শনার্থীদের দেহের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকবে। যাদের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রির বেশি থাকবে তাদের আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।