বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে তার অফিস কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা একই হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের অফিস কক্ষে ঘটে এই ঘটনা।
অভিযোগকারী চিকিৎসকের নাম মো. মাসুদ খান। তিনি মেডিসিন ইউনিট-৪-এর সহকারী রেজিস্ট্রার।
মাসুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের ৪৬তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে (সার্জারি বিভাগে কর্মরত) মুঠোফোনে তাকে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে আনেন। ওই কক্ষের সামনে তখন আট থেকে ১০ জন অপেক্ষা করছিলেন। তিনি নিজের চেয়ারে বসার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষমাণ দলটি ভেতরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়।
তিনি জানান, সজল পান্ডে, তরিকুল ইসলাম ও ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিজভীসহ অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় তিনি চিৎকার করলে তার মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা ওই কক্ষের সামনে জটলা করলে হামলাকারীরা চলে যান।
মাসুদ জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে চিকিৎসকদের সম্পর্কের অবনতির জের ধরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পার্সেন্টেজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল ও তরিকুলকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, চিকিৎসক মাসুদ খানের ওপর ‘হামলার’ এ ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য।
হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন জানান, চিকিৎসক মাসুদ ঘটনাটি তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।