ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষিত যে শিশুটি কবরস্থানে গিয়ে নড়ে উঠেছে, তাকে নিয়ে এখনও শঙ্কায় চিকিৎসকরা।
২৬ সপ্তাহে জন্ম নেয়া অপরিণত শিশুটিকে এখন হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে রাখা হয়েছে।
তাকে মৃত ঘোষণার বিষয়টি তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান মনিষা ব্যানার্জি বলেন, ‘শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। তবে এসব শিশু সাধারণত বাঁচে না। সাধারণত আমাদের দেশে ২৮ সপ্তাহের নিচে কোনো শিশু ভূমিষ্ঠ হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।’
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেডিক্যালের নবজাতক ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘শিশুটি বাঁচানোও মিরাকল (অলৌকিক) হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিক্যালে ‘মৃত’ শিশু কবরস্থানে জীবিত
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আগের থেকে এখন অনেকটা ভালোর দিকে। তবে এখনও আশঙ্কাজনক।’
‘এ সব শিশুর যেকোনো সময় অবস্থা খারাপ হতে পারে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের অবহেলা ছিল না। তারা ৪৫ মিনিট অবজারভেশনে (পর্যবেক্ষণ) রেখেছেন। তার পরও কোনো স্পন্দন না পেয়ে মৃত ঘোষণা করেন। যেহেতু শিশুটি কবরস্থানে গিয়ে নড়েচড়ে উঠেছে, এর দায়ভার এড়ানো যায় না।’
গত ১৬ অক্টোবর ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে জন্ম হয় শিশুটির। কিন্তু খুশি হওয়ার সুযোগ ছিল না পরিবারটির। কারণ, নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে দেয়া হয় মৃত্যু সনদ।
সদ্যোজাত শিশুর বাবা ইয়াছিন মিয়া সন্তানকে কবর দিতে নিয়ে যান আজিমপুর কবরস্থানে। সেখানে দাফন-কাফন বাবদ এক হাজার ৪০০ টাকা দাবি করা হলে বাবা যান রায়েরবাজার কবরস্থানে।
দ্বিতীয় কবরস্থানে হঠাৎ নড়ে ওঠে শিশুটি। বাবা তাকে নিয়ে আবার আসেন ঢাকা মেডিক্যালে ফিরিয়ে নেয়া হয় জীবিত শিশুটিকে।
কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটা তদন্তে কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।