নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ ধরায় ৯৭টি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে মাওয়ার নৌপুলিশ। জব্দ করা হয়েছে ৬৭ লাখ মিটার কারেন্ট জাল। আটক করা হয়েছে ছয় জেলেকে।
সোমবার রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত লৌহজং সংলগ্ন পদ্মা নদীর সিধারচর, কলিকালের চর, বাবুরচর সহ বিভিন চর ও নদীতে এই অভিযান চালায় নৌ পুলিশ।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসব ট্রলার ও জালের অবস্থান চিহ্নিত করে। পরে রাতভর দূর্গম চারটি চর ও নদীতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, রাতেই ট্রলারগুলো নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালে জব্দ করা জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এরপর পদ্মা পারের সিডার চর, কলিকালের চর ও বাবুর চরে গড়ে ওঠা মৌসুমি ইলিশের আড়ৎ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
পদ্মার পাশাপাশি লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতেও এ অভিযান চালানো হয়।
এই অভিযানে ৪১ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড আর আট জনকে পাঁচ হাজার করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দ হয়েছে ৪০ কেজি মা ইলিশও।
নৌপুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন নৌপুলিশ সুপার (প্রশাসন) সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (ঢাকা অঞ্চল) খন্দকার শরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাইয়ুম বসুনিয়া সহ মৎস্য অফিসের প্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা।
প্রজনন মৌসুমে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
তিন সপ্তাহ মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তাও দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা না মানায় বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।