মাদক ও অস্ত্র মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দেয়নি আদালত। ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।
মাদক ও অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গ্রহণের শুনানির জন্য সকাল ১০টায় আলোচিত এই রাজনীতিককে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
এই মামলায় আগামী ৩০ নভেম্বর আবার শুনানি হবে। ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
সম্রাটকে আদালতে আনা হলে আদালত চত্বরে ভিড় জমান সম্রাটের সমর্থকেরা। তারা তাদের নেতার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এদের কারণে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ।
আদালত চত্বরে উপস্থিত সম্রাটের সমর্থকেরা। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের পর বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের এক মামলায় সম্রাটের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে সাজা খাটা শেষ হয়েছে। এর বেশিরভাগ সময়ই তিনি হাসপাতালে কাটিয়েছেন।
বুকে ব্যাথা উঠলে সম্রাটকে গত নভেম্বরের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। তখন তার হার্টে সমস্যার তথ্য জানান চিকিৎসকরা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ৭ অক্টোবর তাকে আবার কারাগারে নেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন সম্রাট। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় নাম আসার পর তাকে বহিষ্কার করে সংগঠন।
- আরও পড়ুন: ‘যুবলীগের সম্রাট’ ১১ মাস পর কারাগারে
সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি
সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে একটি মামলায় সাজা খাটা শেষ হলেও আরও চারটির বিচার শুরু হয়নি এখনও।
অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নিউজবাংলাকে জানান, দুদকের মামলায় গত আগস্টে সম্রাটকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
একই মামলায় তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও ভাই ফরিদ আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। এর তদন্ত এখনও চলছে।