আগাম জামিন নিতে হাই কোর্টে হাজির হয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ সময় তিনি অডিও ‘ফাঁসের জন্য’ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বিচার চেয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে হাই কোর্টে যান এই এমপি।
ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অডিও ক্লিপটি যতটুকই আছে, সেটা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কী করে গেল, সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাই আমি। এটাও তো আইসিটি আইনের আওতাধীন একটি বিষয়।’
এদিকে নিক্সনের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দুপুর দেড়টায় সময় ঠিক করে দিয়েছে হাই কোর্ট। নিক্সন চৌধুরীর আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আবেদনটির শুনানির জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য দেড়টায় ঠিক করে দেন।
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙের অভিযোগে ১৫ অক্টোবর ফরিপুরের চরভদ্রাসন থানায় নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।
হাই কোর্টে নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে আসেন তার অনেক কর্মী-সমর্থক।
ভোটের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করে গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এমপি নিক্সনের বিচারও চেয়েছে বিসিএস প্রশাসন কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা উপনির্বাচনে ভোটের দিন ভাঙার এসি (ল্যান্ড) আল আমিন মিয়াকে গালাগাল করার অভিযোগ ওঠে নিক্সনের বিরুদ্ধে। তিনি ফরিদপুরের ডিসিকে নিয়ে কটূ কথা বলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে ফেসবুকে। বলা হচ্ছে, ভাঙ্গার ইউএনও জেসমিন সুলতানার মোবাইলে কল দিয়ে গালাগাল করেছেন নিক্সন।
১৩ অক্টোবর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নিক্সন দাবি করেন, তার কথা ‘সুপার এডিট’ করে ছড়ানো হয়েছে। এর পেছনে ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকারের হাত থাকতে পারে।
১৪ অক্টোবর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, গত ১০ অক্টোবর ভোটের দিন অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করায় নিক্সন ফরিদপুরের ডিসিকে ফোনে অসন্তোষ প্রকাশ করে মহাসড়ক অবরোধসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
ভোট শেষে জনসভায় নির্বাচনে ১২ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের প্রতি বিষেদগার করেন।
নিক্সন চৌধুরীর ‘এরূপ মানহানিকর ও অশোভন উক্তি’ প্রশাসনের কর্মস্পৃহায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।