শ্বশুর-জামাতা মিলে পরিচালনা করছিলেন দাঁতের চিকিৎসার ভুয়া ক্লিনিক। তাদের মধ্যে শ্বশুর তৃতীয় শ্রেণি পাস; জামাতা এসএসসি। শ্বশুর ওষুধের নাম লিখতে পারেন না। তিনি বলেন আর জামাতা তা লিখে দেন। এভাবে মার্চ মাস থেকে ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা। সোমবার র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকায় সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা দুই জন হলেন নূর হোসেন ও তার জামাতা জাহিদুল ইসলাম। নূর হোসেনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জাহিদুলকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী হাকিম পলাশ কুমার বসু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই সাজা দেন। তিনি বলেন, তিলপাপাড়া ৭ নম্বর সড়কে একটি বাসার নিচতলায় জিহান কবির নামের একজন দন্ত চিকিৎসক ছিলেন। করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে তিনি চেম্বার ছেড়ে দেন। এরপর চেম্বার খোলেন নূর; সহযোগী হিসেবে নেন জামাতাকে।
র্যাবের নির্বাহী হাকিম বলেন, আগের চিকিৎসক জিহানের প্যাড ব্যবহার করলেও ক্লিনিকের বাইরে থাকা সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন করেন তারা। প্যাডে লেখা ‘পঞ্চগড় ডেন্টাল ক্লিনিক’। আর বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হাসাঈনী ডেন্টাল’।
নূর হোসেন এর আগে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আর তার জামাতা পাথরের ব্যবসার হিসাবরক্ষক ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে নূর হোসেন বলেন, ‘জরুরি রোগী এলে চিকিৎসা দিতাম। ব্যথার ওষুধ দিতাম।’
র্যাব অভিযান চালানোর আগেআগে একজন রোগীর দাঁতের রুট ক্যানেল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নূর হোসেন। ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া জানান, এখানে চিকিৎসা করানোর পর ব্যথা সামান্য কমেছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী হাকিম পলাশ বলেন, দাঁত অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকার পরও সাধারণ লোকজনকে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা। তাদের সাজা দেয়া হয়েছে।