বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার গাড়ি।
সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে তৈমূরের পরিবার।
তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মান্না বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ হামলা হয়। এতে ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে।
হামলাকারীরা মান্নার গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে তৈমুর ও মান্না অক্ষত আছেন।
হামলাকারীরা রামদা, চাপাতি ও লাঠিশোঠা নিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তৈমুরের মেয়ে মার-ই-য়াম। তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে তাদের বাড়ির দিতে আসতে থাকে। তারা বিনা উষ্কানিতে হামলা করে।’
হামলাকারীরা অনুষ্ঠান স্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে
তৈমুর আলম খন্দকারের সহকারী আলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে রূপগঞ্জের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তারা মঞ্চের বাইরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও মটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
তৈমুর আলম খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার পর মাহমুদুর রহমান মান্না সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদকারের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা হয়।’
মান্না বা তার কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে তৈমুর জানান, হামলায় মঞ্চ ছেড়ে মান্না তার বাড়ি খন্দকার ভিলার ভেতরে চলে যান। হামলাকারীরা সরে গেলে অন্য একটি তিনি গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরে আসেন।
হামলাকারীরা গাড়িটির কাঁচ ভেঙে দেয়ার পর মাহমুদুর রহমান মান্না অন্য একটি গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরেন
হামলার একটি ভিডিও এবং বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ হয়েছে। এতে দেখা যায়, একদল তরুণ হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল করে তৈমুরের বাড়ির দিকে আসছে। পরে দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থলে থাকা সব চেয়ার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
হামলায় নিজের ও তার সংগঠনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় এলাকার পোলাপাইন সেখানে গেছে। তবে কী ঘটেছে তা জানি না।’
হামলাকারীরা অনুষ্ঠানের মঞ্চ তছনছ করে
এই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে নিউজবাংলাকে বলেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘হামলার কোনো খবর আসেনি।’
রাত সোয়া আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এখনও কোনো হামলার খবর পাইনি।’