নোয়াখালীতে সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর। যিনি দলিলে আগুন দিতে চেয়েছিলেন, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকেও।
সোমবার নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের রামহরিতালুক গ্রামের প্রবাসী ইসমাইল হোসেন বাবুলের বাড়িতে এই আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আসমা বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তিনি বাবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী।
অগ্নিদগ্ধরা বাকি পাঁচ জনের মধ্যে কামাল উদ্দিন আসমা বেগমের সৎ ছেলে। অন্য চারজন হলেন প্রতিবেশী মো. সুমন, মান্না, কবির হোসেন ও মো. তারেক।
পুলিশ জানায়, বাবুলের স্ত্রী সালেহা বেগম তিন ছেলে, এক মেয়ে রেখে মারা গেছেন। এর পর বড় ছেলে কামাল উদ্দিন তার বাবাকে আসমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে দেন।
বিয়ের পর আসমা তার সৎ ছেলে কামাল উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জামাল হোসেন ও মেয়ে পারভীন আক্তারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
সম্প্রতি বাবুলের প্রথম পক্ষের ছেলে-মেয়েরা বাবার সম্পত্তির ভাগ চেয়ে সৎ মাকে চাপ দেন। কিন্তু আসমা রাজি ছিলেন না।
সোমবার সকালে কামাল তার ভাগ্নেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। সেখানে আসমাকে আবার সম্পত্তির ভাগাভাগি করতে বলেন। এতে দুই পক্ষে বাকবিতণ্ডার তৈরি হয়।
এক পর্যায়ে সময় কামাল পেট্রল দিয়ে বাড়ির জমির দলিলে আগুন দিতে যান। তখন বাধা দেন আসমা বেগম।
হাতাহাতির এক পর্যায়ে পেট্রলের আগুন লাগে আসমা ও কামালসহ উপস্থিত ছয়জনের গায়ে।
তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। তারা আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে আসমা ও কামাল উদ্দিনের অবস্থার অবনতি দেখে তাদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়।
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় কোন পক্ষ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। দগ্ধদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চারজন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।