রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে তিনি রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
পরে বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান জানান, সোমবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০১৮ সালে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কলেজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। সে সময় রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতির মামলাটি করেন একই কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে দুদক। গত ২২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সংস্থাটি। এতে অধ্যক্ষ আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে কলেজের ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ আবদুর রহমান কলেজের বিভিন্ন ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে অধ্যক্ষ ৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও তদন্তে ওঠে এসেছে।
ঘুষ দেয়া নিয়ে ইতোমধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় দুদকে জবানবন্দিও দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষের শ্যালক সেলিম হাসান একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে থাকলেও কলেজের শিক্ষকের তালিকায় তার নাম রেখে দিয়েছেন। এমনকি তাকে সরকারি কলেজের শিক্ষক করার জন্য কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরেও পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ।