সুদক্ষ কারিগর দিয়ে তৈরি এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট প্রথম ধাপে বিক্রি হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকায়। কয়েক হাত ঘুরে এর দাম হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয় বিপুল পরিমাণ জাল নোট। পরে তা ছড়িয়ে দেয় প্রতারকরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সাড়ে ৪৯ লাখ জাল টাকার নোটসহ একটি প্রতারক চক্রের হোতাকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
রোববার বিকেলে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের একটি বাসা থেকে হোতা হুমায়ুন কবিরসহ মো. জামাল, সুখি আক্তার ও তাসলিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির ভাষ্য, নূরজাহান রোডের কিউ-৪/বি নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে জাল নোট বানানোর কারখানা তৈরি করেছিলেন হুমায়ুন। দুর্গা পূজা উপলক্ষে এসব জাল নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ডিবি গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ মাহি জানান, চক্রটির কাছে সম্পূর্ণ প্রস্তুত সাড়ে ৪৯ লাখ জাল টাকার নোট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৪ কোটি জাল টাকার নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।