বরগুনা সদর উপজেলায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগও উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাতলী গ্রামের রাজিকুল ইসলাম রাজু এবং তার সহযোগী কবির মিয়া ও আউয়াল মিয়া।
এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই দিন বিকেলে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজু ও তার ভগ্নিপতি কবির মিয়া ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে আউয়াল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে রাজু তাকে ধর্ষণ করেন।
কলেজছাত্রীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। আমি মামলা করতে চাইলে রাজু আমার মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজু জানায় সে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না। সে আরও বলে, আমার মেয়ের খারাপ দৃশ্যের ভিডিও করে রেখেছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ১০ অক্টোবর বরগুনা থানায় গেলে ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মামলা না নিয়ে বরগুনা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন।’
তবে বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেননি। তিনি বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দেবেন, তা পালন করব।’
মামলার পর থেকেই পলাতক রাজুসহ আসামিরা। এ কারণে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।