আসামি বাইরে রেখে ওকালতনামায় স্বাক্ষরের ঘটনায় হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে আদেশ দেবে।
রোববার আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ডেপুটি জেলারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আলী আজম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, এনআরবি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে জিওলোজাইজ সার্ভেয়ার করপোরেশনের প্রোপ্রাইটর অ্যান্ড চিফ সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় গত ১৫ জুন হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। করোনার কারণে সে সময় এফিডাভিট শাখা বন্ধ ছিল। আদালত বলেছিল, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ওকালতনামা এফিডাভিট করে দাখিল করতে। পরবর্তীতে নিয়মিত আদালত চালু হলে এফিডাভিট শাখা দেখতে পায় - তার একটি মামলার ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর নেই। বিষয়টি তখন আদালতের নজরে আনে এফিডাভিট শাখা। তখন স্বাক্ষর সম্বলিত ওকালতনামা পরবর্তী দিনে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এরপর আসামিপক্ষ ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর সম্বলিত ওকালতনামা দাখিল করে। বিষয়টি দেখে আদালতের সন্দেহ হয়- যে আসামি জামিন নিয়ে বাইরে আছেন, তিনি কীভাবে জেলখানা থেকে ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর পেলেন। তখন আদালত ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনকে তলব করে ১১ অক্টোবর হাজির হতে বলে।
আদালতের আদেশে ১১ অক্টোবর হাজির হন তিনি। জবাব দাখিলের জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন। পরে আদালত ১৮ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত সময় দেয়। রোববার তিনি হাজির হয়ে ‘ব্যাখ্যা দিয়ে’ ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতকে তার আইনজীবী জানান, জেলখানায় একসঙ্গে তিন-চারশ’ ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। তখন বিষয়টি দেখে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বিধায় এ ভুল হয়েছে।
পরে আদালত সোমবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয়।
হাইকোর্টে গত ১৫ জুন আসামি মিজানুর রহমানের আইনজীবী ছিলেন শামীমা আক্তার।