বাল্যবিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই প্রশাসনের নজর এড়াতে শনিবার রাতে করা হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আর বিয়ের আয়োজন ছিল রোববার রাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেই বিয়ে হয়নি।
বাল্যবিয়ে আয়োজনের খবর পেয়ে রোববার দুপুরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের ওই বিয়েবাড়িতে হাজির হন প্রশাসনের লোকজন। অবস্থা বেগতিক দেখে সুর পাল্টায় মেয়েটির পরিবার। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তারা বলেন, এটা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, কুলখানির আয়োজন চলছে।
কসবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবা খান জানান, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গোপনে রোববার রাতে বিয়ে দিতে চেয়েছিল তার পরিবার। তারা ঘটনাস্থলে গেলে আয়োজনটিকে মেয়েটির দাদার কুলখানি বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ওই মেয়ে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিয়ে আয়োজনের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হই। মেয়েটির হাতেও মেহেদী পাওয়া গেছে।’
এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।