নড়াইলে ‘অপহৃত’ এক কলেজ ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাত-পা ও মুখ বাঁধা ছিল।
শনিবার রাতে নড়াইল শহরে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের পুব পাশের একটি কচু্ক্ষেত থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ছাত্রীর বাড়ি কালিয়া উপজেলার একটি গ্রামে। তিনি সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক (সম্মান) অ্যাকাউন্টিং তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা জিদার চৌধুরী বলেন, ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ছাত্রীর বাবা জানান, কলেজ হোস্টেলের কাছে একটি কোচিং সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশে তার মেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে তার শেষ কথা হয়। দুপুরে মেয়েকে আবার ফোন করলে সেটি বন্ধ পান।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনাটি তিনি পুলিশকে জানান। সন্ধ্যার পর তার মেয়ের মুঠোফোন থেকে কল আসে। তখন এক নারী তাকে জানান, সুলতান কমপ্লেক্সের পুব পাশে কচুখেতে তার মেয়েকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার করে।
নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকান্ত সাহা বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।