বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:৪২

অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় কলেজ শিক্ষক স্বামী ওই গৃহবধূকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুমের চেষ্টা চালান। 

গৃহবধূ পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। হদিস মিলছিল না তার স্বামীরও।‌ পাঁচ দিন পর স্বামীর বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে মিলল গৃহবধূর মরদেহ।

অভিযোগ উঠেছে, স্বামীই তাকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুমের চেষ্টা চালান। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গৃহবধূর স্বামীর নাম রাকিব হাসান বাপ্পী। বাড়ি উপজলোর কালারমারছড়া বড়ুয়া পাড়া এলাকায়। শনিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মহেশখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই নিউজবাংলাকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে বদরখালী কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পীর সঙ্গে হোয়ানক পুঁই ছড়ার আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। এর মধ্যে আফরোজার সাবেক স্বামী মারা যান; বাপ্পী তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। 

তবে বাপ্পী তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ হয়। এর জেরে বাপ্পী প্রায়ই আফরোজাকে নির্যাতন করতেন।  এই পরিপ্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর আফরোজা নিখোঁজ হন। সেদিন থেকে তার স্বামী বাপ্পীও আত্মগোপনে চলে যান।

এ ঘটনায় নিহত আফরোজার বাবা মো. ইসহাক বাদী হয়ে ১৬ অক্টোবর মহেশখালী থানায় মামলা করেন।

আফরোজার বড় ভাই মিজান বলেন, বাপ্পী তার বোনকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখেন। বাপ্পীর পরিবারের লোকজনও এই হত্যায় সহযোগিতা করেছেন বলে তাদের ধারণা। 

মহেশখালীর থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, গৃহবধূকে হত্যা ও তার মরদেহ গুমের চেষ্টায় কারা জড়িত, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর