বামপন্থীদের ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে ফেনীর সংসদ সদস্য নিজামউদ্দিন হাজারীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ পোস্টারকে কেন্দ্র করে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদেরকে দায়ী করেছে লং মার্চের নেতা-কর্মীরা। যদিও ছাত্রলীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শনিবার সকালে ফেনীর কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লং মার্চের নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের দিকে লং মার্চটি যাত্রা শুরু করে। তারা কুমিল্লায় অবস্থান করে।
ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে শনিবার সকালে ফেনী শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল করে লং মার্চে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সমাবেশে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজামউদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘তুই ধর্ষকের পাহারাদার’ লিখে তা প্রদর্শন করা হয়। এ নিয়ে সেখানেই হাতাহাতি হয়। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয়।
সমাবেশ শেষে কুমিল্লা বাস স্ট্যান্ডের শান্তির মোড় এলাকায় এলাকায় একদল যুবক হামলা করে।
লংমার্চের ফেনী জেলা সমন্বয়ক পঙ্কজ নাথ সূর্য নিউজবাংলাকে বলেন, ফেনীর সমাবেশ শেষ করে নোয়াখালী যাওয়ার পথে আমাদের গাড়িবহরে দুই দফা হামলা করে।’
‘তারা আমাদের গাড়িবহর আটকে অতর্কিতভাবে লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা করে এবং ইট পাটকেল ছোড়ে। এতে ছয়টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
ছাত্রফ্রন্টের ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ বলেন, এই হামলা করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেনী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত রাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করব।’
এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা লং মার্চের নেতা-কর্মীদের না বাঁচিয়ে উল্টো ছাত্রলীগ যুবলীগকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ ছাত্রফ্রন্ট নেতা পঙ্কজের।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই লং মার্চ করছেন। শনিবার বেগমগঞ্জের ঘটনাস্থল এবং নোয়াখালীর মাইজদীতে সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় ফেরার কথা।