নওয়াপাড়া পৌরসভার ভাঙ্গাগেট এলাকায় অবৈধ রেলক্রসিংয়ে শুক্রবার বিকেলে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের ৪ জন নিহত ও ২ জন গুরুতর আহত হন।
এই দুর্ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র উপপ্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, অবৈধ রেলগেট বসানোর দায় এলজিইডির। সেই সঙ্গে প্রাইভেটকার চালকের অসাবধানতার কথাও বলা হয়েছে।
রেলওয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, এলজিইডি ও অন্যরা যশোর জেলায় সব মিলিয়ে ১৮টি অবৈধ রেলগেট নির্মাণ করেছে। এটা নিয়ে রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক চিঠি দেয়া হয়েছে কিন্তু এলজিইডি আমলে নেয়নি। তাছাড়া ১১টি বৈধ রেলগেটে জনবল সংকটের কারণে স্থায়ী গেটম্যান নেই।
এলজিইডি যশোর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। আর খুলনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোখলেচুর রহমান ফোন ধরেননি।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হিরোক ভূঁইয়ার স্ত্রী শাওনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এই দম্পতির দুই বছরের সন্তান হুমায়রাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হিরোক ভূঁইয়ার বন্ধু মিজানুর রহমান লাভলুর হেফাজতে দেয়া হয়েছে।