কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকায় এক কিশোরীকে প্রায় দেড় মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে কস্তুরাঘাট ও খুরুশকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করে র্যাব। পরে পুলিশের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শাহাবুদ্দীন নামের এক ব্যক্তি দেড় মাস ধরে ওই কিশোরীকে (১২) ধর্ষণ করে আসছিলেন। অন্য তিন জন তাকে এ কাজে সহযোগিতা দেন।
অপর তিন জন হলেন পেকুয়ার ওজানটিয়া এলাকার আরমান হোসেন, সদর থানার খুরুশকুল এলাকার নুরুল আলম ও লোকমান হাকিম।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন নিউজবাংলাকে জানান, ওই চার জন কিশোরীকে পিএমখালি এলাকার একটি বাসায় প্রায় দেড় মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তারা কক্সবাজার সদর থানার কস্তুরাঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এ ঘটনার হোতা মো. শাহাব উদ্দিন। তবে তাকে আটক করা সম্ভব হয়। পরবর্তী সময়ে তার তথ্যের ভিত্তিতে তিন সহযোগীকে আটক করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আটক চার জনকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস জানান, গ্রেফতার চার জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।