ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট চলছে।
ঢাকা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন।
ভোট দিয়ে নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করেন মনু। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার না থাকাকে তাদের নির্বাচনি কৌশল বলে দাবি করেন তিনি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড (ডেমরা ও মতিঝিল) নিয়ে ঢাকা-৫ এবং রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-৬ আসন গঠিত।
ঢাকা-৫ আসনে ৬ ও নওগাঁ-৬ আসনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঢাকা-৫ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আবদুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান।
নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন হেলাল, বিএনপির শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খন্দকার ইন্তেখাব আলম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। ১৮৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।
রাণীনগর ও আত্রাই নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনের ১৬টি ইউনিয়নে ১০৪টি ভোটকেন্দ্রের ৭২১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন।
গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ ও ২৭ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।