ডিম সিদ্ধ আর আলু দিয়ে রান্না হয়েছিল ঘাটি। খাবার স্বাদ হয়নি-এমন অভিযোগ তুলে বার্বুচিকে করা হয় গালাগালি। চেতে ওঠেন বার্বুচিও। বলেন, না পোষালে দরকার নাই খাওয়ার। শুরু হয় কথাকাটাকাটি। মারামারি থেকে শেষ পর্যন্ত যা গড়িয়েছে হত্যা পর্যন্ত।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মাহমুদনগর এলাকায় এমভি নিউটেক জাহাজে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূইয়া জানান, শুক্রবার দুপুরে খাওয়ার সময় ডিমের রান্না নিয়ে জাহাজের বাবুর্চি মোশাররফের সঙ্গে তর্কে জড়ান শ্রমিক নাহিদ মিয়া। এ সময় শ্রমিক সর্দার টিটন সেখানে হাজির হন। নাহিদের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ডিম খেতে নিষেধ করেন তিনি।
সর্দার টিটনের এমন বক্তব্য মানতে পারেননি শ্রমিক নাহিদ। তাদের দুজনের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এসময় সেখানে আসেন নাহিদের ভাই শ্রমিক সবুজ মিয়া। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রান্না ঘরের ছুরি নিয়ে টিটনকে আঘাত করেন তিনি। এসময় আহত হন জাহাজের মাস্টার তাইজুল ইসলাম ও বার্বুচি মোশাররফ।
তাদের তিন জনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক টিটন সর্দারকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌথানার পরিদর্শক ছগীর হোসেন জানান, হত্যায় অভিযুক্ত সবুজ মিয়া শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় সবুজের ভাই নাহিদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে।