ষষ্ঠবারের মতো দায়িত্ব নিয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান নিজেকে সফল দাবি করেছেন। বলেছেন, এ কারণেই তাকে আবার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এই নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা একটি গোষ্ঠী করছে দাবি করে তাকসিম বলেন, অনৈতিক, অবৈধ, দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির মতো কাজ করতে না পেরে তারা সমালোচনায় লিপ্ত।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকসিম ঢাকা ওয়াসার এমডি হন। দায়িত্ব পালনকালে সেবার মান বৃদ্ধি নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ স্পষ্ট। এর মধ্যে তাকে তিন বছরের জন্য ষষ্ঠবারের মতো নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা ওয়াসার এমডি। বলেন, ‘সরকার চায় অর্জন। সরকার চায় সাফল্য। তো সাফল্য হয়েছে। সরকার সেটাই চাচ্ছে। এই আলোচনা সমালোচনা কিন্তু তাঁরাই করছেন, যাঁরা আমাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা তাঁদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড, তাঁদের অবৈধ কর্মকাণ্ড, তাঁদের দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির কর্মকাণ্ড করতে পারছে না।’
সভার শুরুতে তাকসিম গত ১০ বছর কী কী করেছেন, তা তুলে ধরেন। দাবি করেন, এই দশ বছরে ওয়াসায় সুশাসন ফিরেছে।
ওয়াসা এমডি বলেন, ঢাকায় দৈনিক ২৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও ওয়াসা ২৬৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। ৮৬০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভ থেকে এবং পাঁচটি শোধনাগারের মাধ্যমে ৩৩ শতাংশ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তার কী কী চ্যালেঞ্জ তা তুলে ধরেন। বলেন, ’আমাদের পাঁচটা চ্যালেঞ্জর মধ্যে পঞ্চমটা হচ্ছে ভেস্টেড ইন্টারেস্টেড গ্রুপ। সব জায়গায় এই ধরনের একটা গ্রুপ থাকতে পারে, যেটা আমাদের ভেতরেও আছে, বাইরেও আছে। সরকারের মধ্যে আছে, সরকারের বাইরে আছে। যাদের স্বার্থে আঘাত পড়ে তারাই এই সমালোচনা করে।’