নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ ধরায় তিন জেলায় ২৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চাঁদপুরের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে জেলেদের এই দণ্ড দেয়া হয়। পোড়ানো হয় কয়েক হাজার মিটার জব্দ কারেন্ট জাল।
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে অবৈধভাবে ইলিশ ধরার সময় তিন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের এক বছর করে কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা ইয়াসমিন।
দণ্ডিতরা হলেন উমারপুর ইউনিয়নের পাকুটিয়া গ্রামের মো. সেলিম, সাইফুল ইসলাম ও মো. কাউসার। এ সময় ৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কেউ আটক হয়নি।
দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
চাঁদপুরে ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আসাদুল বাকী আরও জানান, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১০টি টিম ২৪ ঘণ্টা চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৬০ কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছে।
ইলিশ রক্ষায় ও উৎপাদন বাড়াতে ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।