প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা পঞ্চম দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তারা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এদিকে আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ মিরপুর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। পুলিশ বুধবার রাতে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরদিন সকালে সেখানে আবার গেলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে ১৫ জন আহত হন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলপ্রত্যাশী কমিটির উপপ্রধান মো. আবু হাসান বলেন, ‘রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শুধুমাত্র বেকাত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে নেমেছি। আমরা কাফনের কাপড় সঙ্গে এনেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।’
কমিটির প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ২০১৪ সালের পরে এই প্রথম একটি নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় আমরা বাদ পড়েছি। এর মধ্যে অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। তা ছাড়া করোনা মহামারী আমাদের সব স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অথচ অনেক পদ শূন্য আছে। এ সব শূন্য পদে আমাদের নিয়োগ দেয়া হোক।’
কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
প্যানেল তৈরির মাধ্যমে নিয়োগের এই দাবি অযৌক্তিক বলে তা নাকচ করে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এর বাইরে নিয়োগের সুযোগ নেই।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮-এর মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েন ৩০ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী। তারা এখন আন্দোলন করছেন।