দুর্নীতির মামলায় বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের আপিল করার অনুমতির আবেদন খারিজ করেছে আপিল বিভাগ। ফলে বাবা-ছেলেকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাবা-ছেলের পক্ষে এদিন আদালতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মীর নাছির ও মীর হেলালকে দেওয়া বিচারক আদালতের সাজা হাইকোর্ট বহাল রেখে রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে হাইকোর্টের আদেশ বলেছিলেন-যেদিন বিচারিক আদালত রায়ের কপি পাবেন, সেদিন থেকে তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে তাদের আত্মসমর্পন করতে হবে।’
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘বিচারিক আদালত রায়ের কপি পেয়েছে। এখন তিন মাসের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পন করতে হবে। তারা আত্মসমর্পন না করে আপিলের অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। আদালত আজ উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’
বিচারিক আদালত গত ১৩ আগস্ট নথি পেয়েছে বলেও জানান এ আইনজীবী।
মীর নাছির আগে ১ বছর ৯ মাস ১৫ দিন সাজা খেটেছেন।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিনের ১৩ বছর ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই সঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করতে বলে আদালত।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাসিরকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।
রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে দুদক আপিল করে। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন গ্রহণ করে রায় দেয় আপিল বিভাগ।
রায়ে মীর নাসির ও মীর হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়। শুনানি শেষে এই রায় আসলো।