ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের একাত্তর টেলিভিশনকে বর্জনের ডাক ও সাংবাদিককে হুমকির ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নিালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।
বুধবার সংগঠনটির এক বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের এবং কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, না হলে নুরকে গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের অন্যতম সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল একাত্তর টিভিকে বর্জনের ডাক দেয়ার পাশাপাশি ঐ টেলিভিশনের একজন সাংবাদিককে লাগাতার হুমকি দেয়া ও টেলিফোনে অশ্লীল গালাগালির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছে বিজেসি।
‘বিজেসি মনে করে, যে কোনো নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তেরও অধিকার আছে আত্মপক্ষ সমর্থনের। সাংবাদিকতার নীতি মেনেই তা প্রকাশ করা হয়। সেই নীতি মেনেই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণে সহযোগিতা ও নির্যাতিত নারীর প্রতি দেয়া অবমনানাকর বক্তব্যের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে একাত্তরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল।’
কিন্তু নুরুল হক নুর বক্তব্য না দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঐ সাংবাদিকের টেলিফোন নাম্বার প্রকাশ করেন অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্য না দেয়া তার ব্যক্তি অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই সামাজিক মাধ্যমে সাংবাদিকের ফোন নাম্বার প্রকাশ করতে পারেন না।
‘আমরা এরই মধ্যে লক্ষ্য করছি নুর সাংবাদিকের নাম্বার প্রকাশ করার পর থেকেই নুরের অনুসারীরা ঐ সাংবাদিকের নাম্বারে ফোন করে লাগাতার অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করার পাশাপাশি তাকে হত্যাসহ নানান হুমকিও দিচ্ছেন।’
সেইসাথে নুরের অনুসারীরা একাত্তরকে বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পেজ খুলে নানা উস্কানিমূলক অসত্য বক্তব্য প্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে বিজেসি।
বিবৃতিতে বিজেসি বলেছে, ‘সাথে যুক্ত হয়েছে ধর্মান্ধ মৌলবাদী চক্রও। নুর ও তার অনুসারীদের এই আচরণ স্বাধীন সাংবদিকতা ও সব ধরনের নৈতিকতা বিরোধী। এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রচলিত আইনেরও পরিপন্থী।
‘বিজেসি অনতিবিলম্বে এইসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। সেইসাথে নুর ও তার অনুসারীদের আহ্বান জানাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার। নইলে নুরকে গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব উস্কানিমূলক ও অসত্য বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা সরিয়ে ফেলতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে বিজেসির বিবৃতিতে।