বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ প্রমাণে মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ২২:১১

ভুক্তভোগীর মৌখিক সাক্ষ্য ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তার ভিত্তিতেই আসামিকে সাজা দেয়া যেতে পারে: হাইকোর্ট

শুধুমাত্র ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ায় ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি- এমন অজুহাতে আসামি খালাস পেতে পারে না বলে মত দিয়েছে হাইকোর্ট।

ভুক্তভোগীর মৌখিক সাক্ষ্য ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তার ভিত্তিতেই আসামিকে সাজা দেওয়া যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। 

খুলনায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় আসামি ইব্রাহিম গাজীর যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার এ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা।

ধর্ষণ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া আসামি ইব্রাহিম গাজীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বুধবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। ১৫ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত কিছু পর‌্যবেক্ষণ দিয়েছে।

আদালতে আসামিপক্ষের যুক্তি ছিল, আদালতের আদেশ থাকার পরও প্রসিকিউশন ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করেনি। এছাড়া ভিকটিম যাদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী করেছিল তাদের কেউ আদালতে সাক্ষী দেয়নি। এ কারণে আসামি খালাস পাবার অধিকারী।

আসামিপক্ষের এমন বক্তব্যের বিষয়ে রায়ে বলা হয়েছে, ‘২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ঘটনা ঘটে। আর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন ওই বছরের ১৭ মে। অর্থাৎ ৩২ দিন পরে। যদি ভিকটিমকে ১৭ মে তারিখেই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হতো, তবুও দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা করার কারণে ধর্ষণের কোনো আলামত না পাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে শুধুমাত্র ডাক্তারি পরীক্ষা না করার কারণে প্রসিকিউশন পক্ষের মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, খুলনার দাকোপ উপজেলার এক কিশোরীকে স্কুলে যাওয়ার পথে আসামি ইব্রাহিম গাজী প্রায়ই উত্যক্ত করতেন। ২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভোরে মসজিদে কোরআন পড়তে যাওয়ার সময় আসামি কিশোরীকে ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক হয়। ১৭ এপ্রিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ২৩ এপ্রিল আদালতে নালিশী মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

আদালত ১৭ মে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে নির্দেশ দেয়। ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ইব্রাহিম কাজী। হাইকোর্ট তা খারিজ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর