ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে জেলেদের দেয়া হয়েছে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা।
হাতিয়ায় ছয় জনকে অর্থদণ্ড
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইলিশ শিকার ও পরিবহনের দায়ে ছয় জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার সালাম জানান, স্থানীয় আফাজিয়া বাজারে ইলিশ পরিবহনের সময় তিন জেলেকে আটক করে নৌ পুলিশ। এছাড়া মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলারে তল্লাশি করে মাছ জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় তিন জনকে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের চার হাজার পাঁচশ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
কোস্টগার্ড অভিযান শুরু করেছে বাগেরহাটেও।
৬০ হাজার টন ইলিশ আহরণের টার্গেট বরিশালে
বরিশালের র্কীতনখোলায় ইলিশ শিকার বন্ধে টহল দিয়েছে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও নৌপুলিশ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, জেলায় গত বছর ৫২ হাজার টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছিল। এ বছর মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ করা গেলে ৬০ হাজার টন ইলিশ আহরণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার করতে গেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তালিকাভুক্ত জেলেদের শিগগিরই ভেতরেই সরকারি সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠিতে জেলেদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান
ঝালকাঠির আড়াইশ জেলে পরিবারকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দিয়েছে ঝালকাঠি রোটারি ক্লাব। ক্লাবের সভাপতি শামীম আহম্মেদ বুধবার জেলেদের হাতে সহায়তা তুলে দেন।