যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বুধবার বাংলাদেশে আসছেন। সফরকালে তিনি করোনা মোকাবিলা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারতের নয়াদিল্লিতে তিন দিনের সফর শেষে বিকেলে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, বিগান ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত পারস্পরিক স্বার্থ বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তার ঢাকা সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে বলে সোমবার জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) নিয়ে কথা বলবে। বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইউএস ভিসা পাচ্ছেন না। অথচ অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। এটি বৈষম্যমূলক। আমরা বলব যে, তারা যদি (আইপিএস) উদ্যোগের কার্যকারিতা চায় তবে তাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। কেবল আলোচনার মাধ্যমেই কাজ হবে না।’
ড. মোমেন বলেন, ‘তারা যদি সত্যিই বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তবে তিন বছরের জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা করতে পারে।’
আইপিএসের প্রতিরক্ষার দিক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায়। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ সে বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করবে। আমাদের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এটি বিশ্ববাসীর দায়। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্টিফেন ই বিগানের বাংলাদেশ সফরের সময় সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
শুক্রবার বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানের।