প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাশবিকতা থেকে নারীদের রক্ষা করতেই আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করতে সংশোধিত আইনের অধ্যাদেশে মঙ্গলবার সকালে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এর আগে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০৩ এর দুটি ধারায় সংশোধনী অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় প্রচুর অ্যাসিড নিক্ষেপ হতো। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ধর্ষণ… আমি বলব একটা মানুষ পশু হয়ে যায়। সেই জন্যই তাদের মধ্যে এই যে পাশবিকতা। তার ফলে আজকে আমাদের মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত।’
‘সেই জন্য আমরা এই আইনটি সংশোধন করি। আমরা এখানে ধর্ষণ করলে সেখানে যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতিমধ্যে আমরা ক্যাবিনেটে সেই আইন পাস করে দিয়েছি এবং যেহেতু পার্লামেন্ট সেশনে নাই…এটা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা মোকাবিলা করা এবং সেটাকে দূর করার লক্ষ্যে নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় হবে, জলোচ্ছ্বাস হবে, বন্যা হবে, ভূমিকম্প হবে, অগ্নিকাণ্ড হবে; নদী ভাঙন আছে, খরা আসে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিনিয়ত আসতে থাকবে। কিন্তু সেইগুলো মোকাবিলা করে আমাদের বাঁচতে হবে।’
গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন প্রমুখ।